কিছু মানুষ থাকেন, যারা চিরতরে নিভে যাওয়ার আগ মুহূর্তেই হয়ে ওঠেন অন্যের জীবনের আলোকবর্তিকা। তাদের মৃত্যু হয় না, তারা ছড়িয়ে পড়েন হাজারো হৃদয়ে—ভালোবাসা, ত্যাগ আর সাহসের এক অনন্ত প্রতিমূর্তি হয়ে। মাহেরিন চৌধুরী ছিলেন তেমনই এক বিরল মানুষ। তিনি ছিলেন শিক্ষক, কিন্তু তার শিক্ষাদান সীমাবদ্ধ ছিল না শুধু, শ্রে
মাহেরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ জাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তার বীরত্ব, দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের কাছে পাথেয় হয়ে থাকবে। তার নামে গড়া হাউজের ছাত্রীদের মধ্যে সেই আত্মত্যাগের আলো জ্বালিয়ে দিতে চাই আমরা।
মানুষের জীবন অমূল্য সম্পদ। কারণ মানুষ একবারই এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। আর মৃত্যুতেই জীবনের পরিসমাপ্তি। তাই মানুষ শত কষ্টে শত দুঃখেও অসংখ্যবার নিজের দীর্ঘায়ু কামনা করে। তাই তো কবির কণ্ঠেও ধ্বনিত হয়েছিল—
শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী
ঢাকার উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ ঘটনায় শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী নিজের প্রাণ দিয়ে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচিয়েছেন। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও পিছু হটেননি তিনি, এমনকি একচুলও সরেননি নিজের দায়িত্ব থেকে।